ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল হলো জি,এম,হাট যা বর্তমানে জি,এম,হাট ইউনিয়ন নামে পরিচিত । আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে এই ইউনিয়নটি ফুলগাজী উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন পরিষদ। কাল পরিক্রমায় আজ জি,এম,হাট ইউনিয়ন শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিজস্ব স্বকীয়তা আজও সমুজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই ইউনিয়নের আপাময় জনতা বিরাট ভূমিকা পালন করেন। ১৯৮7 সালের ৭ই ডিসেম্বরএই ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠীত হয়। এই পর্যন্ত মোট ৬ জন চেয়ারম্যান এই ইউনিয়ন পরিচালনা করেন।পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর হতে অত্র এলাকার জনসাধারণ স্বতন্ত্র একটি প্রশাসনিক কাঠামো গঠনের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে আসছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিতে অত্র এলাকার মানুষের প্রাধান্য রক্ষার জোর প্রচেষ্টা বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাচনে পরিলক্ষিত হয়েছে। যার ফলে জি,এম,হাট কে কেন্দ্র করে ধাপে ধাপে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। উন্নত সমাজ কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কষ্টের ফসল আজকের জি,এম,হাট ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের জন্ম কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জমিদারি প্রথার অবসান গটানোর জন্য তৎকালীন সময়ে যারা সংগ্রাম করেছেন, তাদের মনের অবস্থান দিক বিবেচনা করে অত্র ইউনিয়ন গঠনের স্বপ্ন জেগেছিল। উত্তর-পূর্বে জগৎপুর, দক্ষিণ-পূর্বে গতিয়া সোনাপুর, পূর্বে মুহূরী নদী, পশ্চিম-দক্ষিণে কাজিরবাগ, উত্তর- পশ্চিমে মুন্সিরহাট ইউনিয়ন, পশ্চিমে ভারত সিমান্ত,মধ্যখানে বড় পাথরী নামক বিরাট জলাশয়, তৎকালীন আনন্দপুর ইউনিয়নকে দ্বী-খন্ডিত করে পূর্ব-পশ্চিম আড়া আড়ী ভাগ করে যে দূরত্ব সৃষ্টি করে রেখেছিল তার উপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রভাব বিস্তারের কারণে স্বাধীনতার পর জি,এম,হাট কে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছিল আলাদা রিলিপ কমিটি। প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনের জন্য তখনকার সর্বস্তরের মানুষের কথা বিবেচনা করে উক্ত রিলিপ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রিলিপ কমিটি অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রসাশন ব্যবস্থা অত্র এলাকার মনে দারুণ সাড়া জাগিয়েছিল তেমনি তার কলংকময় অধ্যায়ও অত্র এলাকার মানুষ ভুলিতে পারিবেনা কোন দিন। তারপর দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর একটানা সরাসরি আন্দোলন করার পর ১৯৮৭ সালের ৭ই ডিসেম্বর তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে জন্ম লাভ করে অত্র ইউনিয়নের। যাদের সক্রিয় আন্দোলন ও প্রচেষ্টায় অত্র ইউনিয়নের অস্তিত্ব লাভ করেছে তাদের সকলকে আমরা আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। যারা এই ইউনিয় গঠনের জন্য দীর্ঘ দিন প্রচেষ্টা করেছেন, আজ আমাদের মাঝে নাই তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস